যারা কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হবে তাদের মালামাল বাজেয়াপ্তসহ জেল-জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। সাঈদ খোকনের ঘোষণা অনুযায়ী পুরান ঢাকায় রাসায়নিক কারখানা-গুদাম হাজারের উপরে রয়েছে।
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে শিল্পপার্ক হচ্ছে সেখানে চলে যাবে। তবে অভিযানে জেল-জরিমানা ও কারখানা সরানোর কাজ একযোগে চলবে।
রোববার (১২ মার্চ) লালবাগ শহীদনগর এলাকা থেকে রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়। অভিযানে কারখানাগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স যাচাই করা হয়। এছাড়া যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসা করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অভিযানের আওতায় আসবে যেসব প্রতিষ্ঠান:
সকল প্রকার দাহ্য পদার্থের গুদাম বা কারখানা, রাসায়নিক পদার্থ ও প্লাস্টিক কারখানা, আঠা তৈরির কারখানা, রঙের কারখানাসহ মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সব কারখানা ও গুদাম এই অভিযানের আওতায় আসবে।
কী শাস্তি হতে পারে:
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ধারা ১৮ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি লাইসেন্সের কোনো শর্ত পালন করতে ব্যর্থ হলে তিনি আইনের বিধান সাপেক্ষে অন্যূনতম ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অভিযানে শাস্তি হচ্ছে যাদের:
মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার সময় কারখানা সংশ্লিষ্ট যাকে পাওয়া যাবে তাকেই জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির। ম্যাজিস্ট্রেটের কথা অনুযায়ী দেখা যায় মোবাইল কোর্টে কারখানার শ্রমিকদেরই জেল হচ্ছে। এর কারণ অভিযানের খবর টের পেয়ে কারখানার মালিকরা আগেই সটকে পড়ছেন। যারা কারখানায় থাকছেন তারা হয় শ্রমিক না হয় পাহারাদার।
কারখানার মালিকরা সময় পাচ্ছেন কি না:
রাসায়নিক কারখানার মালিকরা প্রয়োজনীয় কারণ দেখিয়ে সময় চাইলে সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে কারখানার ধরন অনুযায়ী সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তবে কোনোভাবেই পুরান ঢাকার ঘনবসতি এলাকায় থাকা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
নগরীতে রাসায়নিক কারখানার হুমকিমুক্ত তথা জননিরাপত্তা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত শহীদনগর, নিমতলী, আগামসি লেন, ইসলামবাগ, চকবাজারসহ যেসব এলাকায় রাসায়নিক কারখানা রয়েছে সেসব এলাকায় ৩টি টিম একযোগে কাজ করবে।
অভিযানের প্রথম দিন অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ১৮ ধারায় লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় পরে ইউনিক পলিমার রাসায়নিক কারখানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি কারখানার শ্রমিককে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
এসব রাসায়নিক কারখানা নদীর ওপাড়ে কেরানীগঞ্জে শিল্প মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন শিল্প পার্কে স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে বলে ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ