এ বিষয়ে (১৩ মার্চ) সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
‘গ্রাহকের হিসাবে অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রাহককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান প্রসঙ্গে’ জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে চেক জাল করে গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি বা প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।
তাছাড়াও চেকের পাতা বা চেক বই চুরি করে, চেক জালিয়াতি বা সিস্টেমের ত্রুটিজনিত এবং আইটি সিস্টেমের অপব্যবহারের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। সাধারণত অর্থ জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি সময়সাপেক্ষ, বিধায় ব্যাংকের নিজস্ব তদন্তে গ্রাহকের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হলে গ্রাহকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আত্মসাৎ করা অর্থ গ্রাহককে দেওয়া যুক্তিযুক্ত।
এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, চেক জাল করে গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ জালিয়াতি বা প্রতারণার ঘটনায় ব্যাংকের নিজস্ব তদন্তে ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারী জড়িত প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের এতদসংক্রান্ত দাবি পূরণ করতে হবে।
ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী বা গ্রাহক কারও সংশ্লিষ্টতা ব্যতিরেকে অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে/ত্রুটির কারণে উক্ত অর্থ জালিয়াতি/ক্ষতি হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসই/এএ