ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গতি পাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
গতি পাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অনিশ্চিয়তা ছেড়ে গতি পাচ্ছে ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিমানবন্দর সড়ক থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত ‌‌‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র কাজে এবার গতি আসছে।

সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে অর্থপ্রাপ্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। যে কারণে ধীরগতি থেকে বেরিয়ে পুরোদমে শুরু হচ্ছে নির্মাণ কাজ।

এক্সপ্রেসওয়ের বনানী পর্যন্ত কাজ আগামী বছরেই শেষ করা হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, অর্থপ্রাপ্তি জটিলতায় এই নির্মাণ কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছিলো। গেল প্রায় ছয়মাস কোনো কাজ হয়নি। এখন ইতালিয়ান থাই কোম্পানির সঙ্গে চীনের অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে বাকি কাজ শেষ হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, অর্থপ্রাপ্তি নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো এখন তা কেটে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ‘ফান্ডিং রিলিজ’ হওয়া শুরু করবে। যে কারণে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ফান্ডিং নিশ্চিত হওয়ার পর ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মন্ত্রী নিজে প্রকল্প এলাকা ঘুরে গেছেন। এ সময় প্রকল্প কর্মকর্তাদের জোরবেগে কাজ শুরুর তাগিদ দিয়ে যান তিনি।

নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই কোম্পানির কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, এখন কোনো সমস্যা নেই। দ্রুত কাজ শেষ করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ছয় মাস পিছিয়ে গেলেও এখন কাজের গতি বাড়িয়ে এ সময়টুকু এগিয়ে নেওয়া যাবে। সরকারের এ মেয়াদেই শেষ হবে বনানী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ে নির্মাণ কাজ।
অনিশ্চিয়তা ছেড়ে গতি পাচ্ছে ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ ছবি: বাংলানিউজ
প্রকল্প পরিচালক কাজী ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, তিন ধাপে শেষ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এর মধ্যে বনানী পর্যন্ত প্রথম ধাপ আগামী বছর শেষ করা যাবে।   এখন পুনর্বাসন ভূমি উন্নয়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। টেন্ডার যাচাই চলছে।

প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাইল ড্রাইভিং কাজ চলমান আছে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে নির্মাণ কাজ শুরু পর এখন পর্যন্ত ৬শ’ ৪৭টি পাইল, ৪৩টি পাইল ক্যাপ, ২টি সম্পূর্ণ কলাম ও ৮টি আংশিক কলাম সম্পন্ন হয়েছে।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরের বিপরীত দিকে কাউলায় ১৫.৯৫ একর জায়গা মাটি ভরাট করে প্রকল্পের সাইট অফিস, স্ট্যাকইয়ার্ড, কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নির্মাণ করেছে। এছাড়াও ব্যাচিং প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, ২০ কিলোমিটারের এই উড়াল সেতুর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ হাজার ৯শ’ ৪০ কোটি টাকা। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর আওতায় এ প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন দুই হাজার ৪শ’ ১৩ কোটি টাকা। বাকিটা চীন-ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি সহযোগিতা করছে।

প্রকল্পটি চিত্র অনুযায়ী, প্রকল্পের রুট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী- তেঁজগাও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত যাবে। যার বেশিরভাগ অংশই দেখা গেছে বিমানবন্দর থেকে মহখালী মগবাজার পর্যন্ত রেললাইনের ওপরেই থাকছে। এর মধ্যে ৩১টি র‌্যাম্প থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
এসএ/জিপি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।