ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে ৪ বছর পর রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৭
বেনাপোল বন্দরে ৪ বছর পর রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বেনাপোল কাস্টমস-ছবি-বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমসে গত চার অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে  লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে  লক্ষ্যমাত্রার ৩ হাজার ৭শ’৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে বছর শেষে ৩ হাজার ৮শ’৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ হাজার ১শ’৪৩ কোটি টাকা ঘোষণা করে। বছরের শেষ মুহূর্তে তা পূরণে ব্যর্থ হয়ে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ২ হাজার ৮শ’৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে। অবশেষে ৩০ জুন বছর শেষে ২ হাজার ৯শ’৪০ কোটি টাকা আদায় করে উদ্বৃত্ত দেখানো হয়।  

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঘাটতি ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৯৪ কোটি টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দরে আমদানি বাড়লেও সেভাবে সরকারি খাতে রাজস্ব আসছে না। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা কাস্টমস ও বন্দরের দ‍ুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আবার কখনও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এসব দ‍ুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে মামলা হলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।  

স্থানীয় ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, কাস্টমসের অযথা হয়রানি, অতিরিক্ত ঘুষ, বন্দরে নিরাপত্তা সমস্যার কারণে রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। হয়রানি বন্ধ ও ঘুষ কমলে এপথে আরও আমদানি বাড়বে। কমবে দেশিয় বাজারে আমদানি পণ্যের মূল্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সে উন্নয়নও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম, যা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মারাত্বক বাধা সৃষ্টি করছে। আরও উন্নয়ন হলে বর্তমানে যে রাজস্ব আসছে তার দ্বিগুণ আসবে বলে আশা করেন তিনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, দিন দিন আমদানি পণ্যের উপর অযৌক্তিক হারে শুল্ককর বাড়ানো হচ্ছে। এতে বৈধভাবে আমদানি কমে বাড়ছে পাচার। অনেকে এ বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে। শুল্ককর স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা হলে বৈধ পথে আমদানি বাড়বে। বৃদ্ধি পাবে রাজস্ব আয়।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. শওকাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চার বছর পরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। রাজস্ব আয়ে সব ধরনের চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। অবৈধভাবে পাচারের সময় পণ্য আটক করে সেই পণ্যের শুল্ক রাজস্বে যোগ করা হয়েছে। অপরাধীদের আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
এজেডএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।