ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মধ্যম আয়ের দেশে যেতে রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
মধ্যম আয়ের দেশে যেতে রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা

ঢাকা: ২০২১ সালে জাকজমকপূর্ণ ভাবে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর পূর্তি উৎসব) পালন করবে সরকার। ওই সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করতে রফতানি বাণিজ্যের টেকসই উন্নয়নের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার।

এ লক্ষ্যে ‘রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’ একটি সভা আয়োজন করবে। চলতি মাসের ১৩ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।


 
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭২ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি আয় হয়েছে। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ডলার।
 
এপ্রিল মাসে দুইশ ৭৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি আয় হয়েছে। এর আগের অর্থবছরের এপ্রিলের চেয়ে এই আয় সাড়ে ৩ শতাংশ বেশি।  ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার সাতশ কোটি ডলার। সে হিসাবে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দরকার প্রায় ১২ শতাংশ।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি আয়ে গতি আসছে না কোনভাবেই। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে রফতানি পণ্য থেকে আয় করতে হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। এজন্য বেশ কিছু কর্ম পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
 
কর্ম পরিকল্পনায় গুরুত্ব পেয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ব্যাংক, সিসিআইঅ্যান্ডই, আরজেএসসি, ইপিবি, বন্দর ব্যবস্থাপনায় কমন ডিজিটাল প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইপিবি পুনর্গঠন এবং জাতীয় রফতানি হাউজ স্থাপনে পদক্ষেপ নেওয়া।
 
২০২১ সালের মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কারিকুলামে ডব্লিউটিও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি অর্ন্তভূক্তকরণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা।
 
বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনগুলোর বাণিজ্য শাখাগুলোকে আরও কার্যকরী করতে পরিচালনা পর্ষদকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদান, ডব্লিউটিও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে কাজ করতে জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের বাণিজ্য উইংকে আলাদা বাণিজ্য দফতরে রূপান্তর করা।
 
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাশিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাংকিং সর্ম্পক স্থাপনের সমস্যা দূরীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে।
 
এছাড়াও ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন সংশোধন, রফতানি পণ্যের কাঁচামাল সহজলভ্য, রফতানির সম্ভাবনাময় পণ্যের মান যাচাইয়ে অ্যাক্রিডিটেশন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ও বিএসটিআই, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাব স্থাপনে প্রণোদনা ও উ‍ৎসাহ প্রদান করা।
 
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে অর্থা‍ৎ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ। রফতানি আয় বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এসই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।