ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্থিতিশীল হচ্ছে সবজি, এখনও অস্থির পেঁয়াজ!

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৭
স্থিতিশীল হচ্ছে সবজি, এখনও অস্থির পেঁয়াজ! কাঁচাবাজারে উঠছে বিভিন্ন শীতের সবজি- ফাইল ছবি

ঢাকা: বাজারে মিলতে শুরু করেছে শীতের সবজি। মাসের প্রথম সপ্তাহেই যার সুফল পাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি সবজিতে কমেছে ১০-১৫ টাকা। মাসের সামনের সপ্তাহগুলোতে এ দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
 

সবজির বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগোলেও এখনও অস্থির পেঁয়াজের দর। একই অবস্থা আদার দরে।

পেঁয়াজের লাগামহীন দামে অস্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।  

সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্যানুযায়ী, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও আদা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও আজিমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
 
সবজির খুচরা বাজারের তথ্যানুযায়ী, প্রতিকেজি ধনিয়াপাতা ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, সিম ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকা (পুরান), শসা ৫০ টাকা ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
 
পেঁয়াজের ‘অস্থিরতা’র বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত এ সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়ে যায়। ফলে বীজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য পেঁয়াজ ক্ষেতে চলে যায়। এতে বাজারে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়। যার কারণে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। আমদানি কমে যাওয়ায় এতো দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
 
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা মিলন বাংলানিউজকে বলেন, নতুন পেঁয়াজ উঠে গেলে বাজারে দাম কমে যাবে। কিন্তু এবার উল্লেখযোগ্য হারে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম নিন্মমুখী হওয়ার সম্ভাবনা কম।    
 
সবজির দাম কমার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই দাম কমছে। আশা করা যায় আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমবে।  
 
আজিমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল হলো সবজির রাজা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় দামও কম থাকে।
 
অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতিকেজি নাজিরশাইল ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৫০-৫৫ টাকা এবং স্বর্ণা ও পারিজা ও ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। সবশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশী রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আমদানি ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ২৮০ টাকা, কাতল ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১২৫ টাকা, রুই মাছ ২০০-৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০-৬৫০ টাকা (আকারভেদে) দরে বিক্রি হচ্ছে। মিলছি বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ।  

মাংসের বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের দরে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কর্ক ১৫০-২২০ টাকা (আকারভেদে-পিস) পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এমএসি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।