ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিড়ি শিল্পের বিকল্প বিড়ি শিল্প’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
‘বিড়ি শিল্পের বিকল্প বিড়ি শিল্প’ কাজ করছেন বিড়ি শ্রমিকরা/ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা থেকে: ‘বিগত ত্রিশ বছরেও একজন বিড়ি শ্রমিকের জন্য সরকার বিকল্প কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে পারেনি। অথচ বারবার এই শিল্পকে ধ্বংস করতে কতিপয় মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) কিছু অসাধু কমর্কতার্রা। বিড়ি শ্রমিকদের জন্য সরকার যখন বিকল্প কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে পারেনি তখন বিড়ি শিল্পের বিকল্পই হলো বিড়ি শিল্প।’ এ দাবি বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের। 

ফেডারেশন বলছে, বিড়ির ওপর একতরফাভাবে অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করে বিড়ি শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম দিকে তথা ১৯৭৭ সালে ১ হাজার বিড়ির ওপর প্রথম আড়াই টাকা ট্যাক্স বসানো হয়।

আর ১ হাজার বিড়ি বানালে তখন শ্রমিকরা পেতেন ৮ টাকা ৪ আনা। বতর্মানে ১ হাজার বিড়ির ওপর ট্যাক্স ২৫২ টাকা। আর ১ হাজার বিড়ি বানালে শ্রমিকরা পান ৩৮ টাকা। ফলে ট্যাক্স নীতির কারণে বিড়ির মজুরির চেয়ে ট্যাক্স বেশি হওয়ায় একদিকে বিড়ি শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে যাচ্ছে তেমনিভাবে বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

শুধু তাই নয়, ২০০০ সালে বিড়ি ফ্যাক্টরি ছিল ৩৫০-৪০০টি। শ্রমিক সংখ্যা তখন ছিল ৫০ লাখের মতো। ২০১০ সালে কমে দাঁড়ায় ১৫০টিতে। তখন শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখের মতো। বতর্মানে সারাদেশে ১০০টির মতো বিড়ি ফ্যাক্টরি আছে, যেখানে শ্রমিক সংখ্যা ১৫ লাখের মতো। ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধের পাশাপাশি বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে।  

পাবনার বাংলা বিড়ির ম্যানেজার শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা আর বিড়ি শিল্প চালাতে পারছি না। এভাবে ট্যাক্স বাড়তে থাকলে বিড়ি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ থাকবে না। বিড়ি শিল্প রক্ষা ও বিড়ি শ্রমিকদের রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সরকারকে বিড়ির ওপর থেকে সকল ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে।  
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি শিল্পের বিকল্প হচ্ছে বিড়ি শিল্প। কেননা বিড়ি শ্রমিকরা অন্য কোনো কাজ জানেন না। শতকরা ৮০ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক নারী। তারা বোঝার পর থেকে এ কাজ করে। ফলে এখন বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে দেশের ১৫ লাখের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।  

এছাড়া সিগারেট তৈরি করতে বিদেশ থেকে সবকিছু আমদানি করতে হয়। কিন্তু বিড়ি তৈরি করতে বিদেশ থেকে কিছুই আমদানি করতে হয় না। তাই বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে হলে আগে সিগারেট বন্ধ করতে হবে।  

** ডিসেম্বরে বিড়ি শ্রমিকদের মহাসমাবেশ

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮,২০১৭
এসজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।