শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার গল্লামারী বাজারে পাতি হাঁস কিনতে আসা ভোজনবিলাসী সোহেল নামের এক যুবকের এমন মন্তব্য।
তিনি বলেন, গরু কিংবা খাসির মাংস সারা বছরই খাওয়া হয়।
গল্লামারী বাজার কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম সবুজ বলেন, শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ভোজনবিলাসীরা হাঁস কিনতে এখানে আসছেন। সব ধরনের হাঁসের পাশাপাশি দেশি মুরগি, কবুতর ও কোয়েল পাখি পাওয়া যায় এখানে। দামও অন্য জায়গার থেকে কম। যেকোনো দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেশি হাঁস-মুরগি পাওয়া যায় এ বাজারে।
তিনি জানান, হাঁসের কদর বেড়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের বাজারে ধস নেমেছে। ক্রেতা কমার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমেছে। তাইতো গরুর মাংস ৫০০ টাকা থেকে নেমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা। আর কদর বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি জাতের হাঁসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৭০ টাকা।
দোকানিরা জানান, শীতে খুলনাঞ্চলের মানুষের হাঁসের মাংস খাওয়া অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। পাড়া মহল্লার পিকনিক-বনভোজনেও হাঁসের মাংস চলছে। আবার কেউ কেউ নতুন আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক নেতাদের তুষ্ট করতে পাতি হাঁসের পাশাপাশি রাজহাঁস-চিনাহাঁস কিনছেন। যে কারণে হাঁসে ক্রেতা প্রায় সব শ্রেণীর মানুষই।
এ বাজারের তাহাজ্জুত আলী নামের এক হাঁস বিক্রেতা জানান, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে হাঁসের মাংসের চাহিদা বেড়েছে। সে জন্য মাংসের বাজারে এখন হাঁসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
তিনি জানান, ১০ দিন আগে যে পাতি হাঁস বিক্রি হতো ১৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ২০০-২২০ টাকা। চিনাহাঁস ২৫০ থেকে বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকা। ৩০০ টাকার রাজহাঁস এখন ৩৪০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলী হোসেন নামের এক মুরগি বিক্রেতা জানান, শীতে হাঁসের কদর বেড়ে যাওয়ায় দেশি মুরগির কদর কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুরগির দাম কমে এখন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিউমার্কেটের চান মিট হাউজের চান কোরাইশী বলেন, গরুর মাংস গত সপ্তাহে ছিলো ৪৫০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪২০-৪৩০ টাকা। প্রতি সপ্তাহেই গরুর মাংসের দাম কমছে।
তবে খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত কেজি ৭০০ টাকায় রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমআর/জেডএস