ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় বিজয় মেলা ও উৎসবে দর্শনার্থীর ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
খুলনায় বিজয় মেলা ও উৎসবে দর্শনার্থীর ভিড় বিজয় মেলার স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড়-ছবি- মানজারুল ইসলাম

খুলনা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনার বিজয় মেলা ও বিজয় উৎসবে মানুষের ঢল নেমেছে। মহানগরীর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ভবন চত্বরে বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিন দর্শনার্থী ও ক্রেতা সমাগমে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

এছাড়া খুলনার জাতিসংঘ শিশুপার্কের বিজয় উৎসবে সাপ-বেজির লড়াই, বানরের নাচ ও যাদু দেখতে ভিড় করছেন হাজারও মানুষ। তিন দিনব্যাপী এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ শিশু পার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি।

জাতিসংঘ শিশু পার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন,  নতুন প্রজন্মের সামনে বিজয় দিবস তুলে ধরতে বিজয় উৎসবে সাপ-বেজির লড়াই, বানরের নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও লোকজ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে এখানে। যা দেখতে প্রতিদিনই বিপুল সংখক দর্শনার্থী বিজয় উৎসবে আসছেন।

এদিকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিজয় মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় বৈচিত্র্যময় হস্তশিল্প পেয়ে ক্রেতারা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি ভালো বিক্রি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা। স্টলগুলোতে ক্রেতা দর্শনার্থীর ভিড় চোখেপড়ার মতো। মেলায় নারীদের আনাগোনাই বেশি। দৃষ্টিনন্দন বাহারি সব পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসেছে। ব্লক, বাটিক প্রিন্টিংয়ের থ্রি-পিস, শাড়ি, ওড়না, শাল, পাঞ্জাবি ও নকশীকাঁথার সমারোহ ঘটেছে স্টলগুলোতে। এছাড়াও স্ক্রিন প্রিন্টিং, বাঁশ-বেত, পাটের তৈরি আকর্ষণীয় বিভিন্ন পণ্য আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাটজাত হস্তশিল্প, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মধু, পিঠাসহ খাদ্যজাত সামগ্রী।

সাপ-বেজির লড়াই উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরাউদ্যোক্তারা জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ব্যবসা ভালো হবে। বিক্রি ভালো হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে মেলার শুচারু জুট গ্যালারি গাজী শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাটের স্কুল ব্যাগ, শপিং ব্যাগ, ফাইল হোল্ডারসহ পাটের তৈরি আকর্ষণীয় বিভিন্ন পণ্য রয়েছে আমাদের স্টলে। এসব পণ্য বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

তিনি জানান, ক্রেতাদের কাছে পাটের এসব পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে।

বিসিকের সহকারী কন্ট্রোলার তাহেরা নাসরিন বলেন, জমে উঠেছে বিসিকের বিজয় মেলা। বিক্রিও ভালোই। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড় থাকে বেশি।

তিনি আরও বলেন, মানুষের কাছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের পরিচিতির জন্যই এ মেলার আয়োজন। শেষ দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ফারুক হোসেন।

শিল্প সহায়তা কেন্দ্র বিসিক খুলনার জরিপ ও তথ্য কর্মকর্তা শেখ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় ঘুরে সময় কাটান দর্শনার্থীরা। এতে একদিকে যেমন জমে উঠেছে মেলা, তেমনি বেচা-কেনাও ভালো হয়েছে।

তিনি জানান, মেলায় এবার ২৭টি স্টল রয়েছে। সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলছে এ মেলা। তিনদিনের মেলায় ক্ষুদ্র কুটির, মাঝারি হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য প্রদর্শন ও বিপণন হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।