ঢাকা, শনিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ জুন ২০২৪, ২৩ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শুরু মঙ্গলবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শুরু মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। ইতোমধ্যে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ সবপ্রকার প্রস্তুতি শেষ করেছে। 

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।  

ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এবারের মেলার শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু লোকজ উৎসব পালন করা হবে।  

তিনি আরও জানান, বিকেল ৩টার দিকে ফাউন্ডেশন চত্বরে সোনারতরী লোকজ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬৪ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ ও মাণ্ডরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশি হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা, পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মোট ১৫৪টি স্টল থাকছে।  

এছাড়া লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভাণ্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।  

সরেজমিনে দুপুরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের মেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে মেলার বিভিন্ন স্টলের দোকানিরা তাদের পণ্য সাজাতে শুরু করেছেন। এছাড়া মেলায় মুড়ি, মুরকির দোকান সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। যারা এখনও স্টল সাজাতে পারেননি তারা দোকান সাজানোর জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্পের ঐতিহ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন এ মেলার মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।