ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনা পুঁজিতে ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান!

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
বিনা পুঁজিতে ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান!

ঢাকা: ১০ বছর আগে শখের বশে কিছু হাঁস পালন শুরু করেন কবির উদ্দিন মোল্লা। আস্তে আস্তে হাঁসের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ ভাইরাসের প্রভাব পড়ে গোটা পৃথিবীতে। লকডাউনের প্রভাবে থমকে যায় গোটা পৃথিবী। এর প্রভাব থেকে রেহাই পাইনি বাংলাদেশও।  
 
লকডাউনের আগে-পরে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে কবির উদ্দিন মোল্লা চিন্তা করেন মানুষের জন্য কিছু করার। চিন্তা করেন তার খামারে মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করার। তখন তার হাঁস খামারের ম্যানেজারকে ডেকে বলেন, ‘যারা বেকার তাদের ২০ জন করে একটি গ্রুপ তৈরি করেন। তাদের প্রত্যেককে খামার থেকে ১০০-২০০ যে যে পরিমাণে নিতে চায় তাদের হাঁস দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাঁস বিক্রি করে রাতে এসে তারা টাকা পরিশোধ করবে। এভাবেই বেকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাকরিচ্যুত ৩-৪শ’ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে বিনা পুঁজিতে। এদের মধ্যে অনেককেই এই এক বছরে স্বাবলম্বী হয়ে তাদের ব্যবসায় তারা আবার ফিরে গেছেন এবং অনেকেই নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ’

কবির উদ্দিন মোল্লার হাঁসের আড়ৎ অ্যান্ড ফার্ম গড়ে উঠেছে মিরপুরের স্লইচ গেট ইর্স্টান হাউজিং বেড়িবাঁধ এলাকায়। এখানে ছোট-বড় সকল প্রকারের হাঁস পাইকারি খুচরা বিক্রি হয়।  ওই আড়তের ম্যানেজার মোহাম্মদ নুর ইসলাম (২৮) বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ বছর ধরে এখানে চাকরি করছি। আমাদের এই হাঁসগুলো আসে সিলেট পাহাড়পুর সুনামগঞ্জ জামালগঞ্জ ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ বিভিন্ন এলাকা থেকে। আমাদের এখান থেকে ভোরে এসে যারা হাঁস নিয়ে যায় তাদের বেশিরভাগই লোক চাকরিচ্যুত বেকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কেউ কেউ দোকানে বিক্রি করে আবার কেউ মাথায় করে ঝুঁড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় হকারি করে বিক্রি করে। খুব সামান্য পরিমাণের লাভ নিয়েই আমরা হাঁস দিয়ে থাকি। সকালে বাকিতে রাত্রে বেলায় বিক্রি করে টাকা দেয় যেগুলো বিক্রি হয়না সেগুলো আমরা আবার ফেরত নিয়ে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কবির উদ্দিন মোল্লা সাহেবের কথা হচ্ছে কোনো অসহায় বেকার গরীব মানুষ যেন কষ্ট না পায়। করোনাকালীন সময় যেন কেউ না খেয়ে থাকে তাদের যেভাবে সহযোগিতা করার প্রয়োজন সেভাবে সহযোগিতা করে যেতে হবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।