ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে গ্রীষ্মকালেও হবে পেঁয়াজ উৎপাদন: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
দেশে গ্রীষ্মকালেও হবে পেঁয়াজ উৎপাদন: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদনে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস সহায়তা দেবে। তাদের সহায়তা পেলে আশা করছি গ্রীষ্মকালেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফরের অর্জন ও কৃষির সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে খাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মসলা। ব্যাপক উৎপাদন আমাদের দেশে হয়। সারা পৃথিবীতে পেঁয়াজের ব্যবহার রয়েছে। তবে সমস্যা হলো এপ্রিল ও মে মাসে আমাদের দেশে পেঁয়াজ উঠাতে হয়। এ সময়ে দাম অনেক কমে যায়। পেঁয়াজ অত্যন্ত একটি পচনশীল পণ্য। বেশি দিন রাখা যায় না। ফলে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ঘাটতি দেখা দেয়৷ এ সময় আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়৷ আমরা যোগাযোগের সুবিধার জন্য ভারত থেকে আমদানি করি। সম্প্রতি অস্বাভাবিক ভাবে শিপমেন্টের খরচ বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নেদারল্যান্ড ও ইউরোপ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারিনি। এ বিষয়টি স্বাভাবিক হলে তখন তারা প্রতিযোগিতামূলক দামেই পেঁয়াজ দেবে। যেটা তারা ২০১৯ ও ২০২০ সালে ১২ হাজার টন দিয়েছিল।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণে সমস্যা রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বাড়ানোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে নেদারল্যান্ডস। পাশাপাশি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণেও দেশটি সহায়তা করবে।

কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, নেদারল্যান্ডস ও ইউরোপের যে পেঁয়াজের জাত রয়েছে তারমধ্য থেকে একটি জাত আমাদের দেখিয়েছে। যেটা প্রাকৃতিকভাবে চার থেকে পাঁচ মাস রাখা যাবে। আমরা পেঁয়াজের সে জাতটি আনবো। পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবো। ১২ মাস পেঁয়াজ হয় এমন জাত এনেছি। গত বছর আমরা বীজ এনেছি যদিও একটু দেরি হয়েছে। আশা করছি গ্রীষ্মকালেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।  

তিনি বলেন, কৃষির অপার সম্ভবনা রয়েছে। যেটা এখনও সম্পূর্ণ ব্যবহার হয়নি। আমরা এবছর এক হাজার ৬২২ টন পেঁয়াজ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আগামী দুই বছর এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারবো।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ একটাই সেটা হলো ম্যানুফেকচারিং খাতকে বাড়িয়ে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করে মানুষের আয় বাড়ানো। এ বাংলাদেশের জন্য অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, রাস্তা, বন্দর পদ্মা সেতু হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে আমাদের ম্যানুফেকচারিং খাতে শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে। তাহলে আমাদের উৎপাদন বাড়বে যা বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো। এগুলো করতে পারলেই দেশ উন্নত হবে।  

আরও পড়ুন>>

>>> আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে সরকারও ডিজেলের দাম কমাবে

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।