ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পেল ৮ প্রতিষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
সিলেটে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পেল ৮ প্রতিষ্ঠান

সিলেট: জাতীয় ভ্যাট দিবসে সিলেটের আট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট সপ্তাহ-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের একটি অভিজাত হোটেলে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মিজ শাহীন আক্তার বলেন, জাতীয় অর্থনীতির বিশাল যোগান দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আপনারা ভ্যাট দেন বলেই রাজস্ব পূর্ণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করবো।  

তিনি বলেন, সরকার উন্নয়ন বাস্তবায়নে টার্গেট দিয়ে থাকে। যে কারণে ভ্যাট আদায়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ দেওয়া হয়। সরকারের উদ্যোগে সবাইকে সামিল করে রাজস্বের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। ফলে করদাতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে কর আদায়ের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নে সারথি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে সরকারের সঙ্গে হাত মেলানো, ব্যবসায়ীর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।  

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের ভ্যাট কমিশনার মোহম্মদ আহসানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স এখন ডিজিটালযোগে প্রবেশ করেছে। মানুষ ভ্যাট, ট্যাক্স দিচ্ছে। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদের বিস্তৃতির কারণে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়ক হচ্ছে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এটিএম শোয়েব বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন ২০৪০ সালে উন্নত রাষ্ট্রের। তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ট্যাক্স-ভ্যাট দিতে হবে। তবে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ না করে ব্যবসায়ীদের কাছে সহযোগিতা সুলভ আচরণ, সহমর্মিতা দেখিয়ে ভ্যাট আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, সিলেটে বড় শিল্পায়ন নেই। কেবল ট্রেডিং ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসায়ীরা শিল্পায়নের দিকে গেলে ভ্যাট দেবে। তাছাড়া করপোরেট ব্যবসায়ীদের যারা সিলেটে ব্যবসা করছেন, তাদের ভ্যাট সিলেটের কোটায় নেওয়া হলে এ অঞ্চলের ব্যবসয়ীদের ওপর থেকে ভ্যাটের চাপ কমবে।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উইমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অতিরিক্ত ভ্যাট কমিশনার রাশেদুল ইসলাম।  

সভাপতির বক্তব্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হক বলেন, ১৯৯১ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থা সূচিত হয়। সরকার এ দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর ‘ভ্যাট দিবস’ ও ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করে আসছে। করোনাকালেও বিগত বছরের মতো এবার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের উচ্চতর প্রবৃদ্ধির মূসক আদায় হয়েছে। সিলেটের ব্যবসায়ী ও মূসক কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার ফলে বিগত বছরগুলোতে মূসক আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।  

অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী আটজন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান হলো- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মেসার্স সাদেক স্টোর, কুলাউড়ার সাউথ সিলেট এন্টারপ্রাইজ, সিলেটের গোলাপগঞ্জের টিকরপাড়ার এলপি গ্যাস লিমিটেড, বিয়ানীবাজারের আলিসা মটরস, সিলেট নগরের সুবিদবাজারের আনন্দ নিকেতন লিমিটেড, হবিগঞ্জের মাধবপুর শাহজিবাজারের চারু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, হবিগঞ্জ সদরের মেসার্স শরীফ ইলেকট্রনিক্স, সুনামগঞ্জের পানসী রেস্টুরেন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।