ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসারে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলো এখন ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) সম্প্রসারণ করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুসারে, তাদের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানের জন্য সহযোগী সংস্থা গঠন করতে হবে।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধনেরর কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মূল ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রদান করতে হবে।
শেয়ার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালক থাকবে মূল ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোর।
একটি সাবসিডিয়ারি মডেল-ভিত্তিক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারীর ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন প্রয়োজন হবে ৪৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে যেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন না করে তাদের বিদ্যমান কাঠামোতে চলবে।
তবে, তারা সহায়ক সংস্থা গঠনের অনুমতিও পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ নীতিমালা মোতাবেক বাংলাদেশডাক বিভাগকে (বিপিও) তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিতে সাহায্য করবে, যেটি এখন নাগাদ ব্র্যান্ড নামে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল (এমএফএস) কার্যক্রম চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালা জারি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
এসই/এমএমএস