ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি, ফেমাস গ্রুপের নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি, ফেমাস গ্রুপের নামে মামলা

ঢাকা: এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ফেমাস গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ৮০ কোটি ২৮ লাখ টাকার গোপনকৃত বিক্রয় হিসাব আটক করে। এতে সরকারের প্রায় ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি সংঘটিত হওয়ায় দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (০২ মার্চ) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ফেমাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ও ফেমাস আইবারকেম ফ্লেভারস অ্যান্ড ফ্র্যাগনেন্সেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান দুটো মূলত খাদ্য সামগ্রীতে ব্যবহৃত কেমিক্যাল (ফ্লেভার) এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কের প্যাকেজিং সামগ্রী উৎপাদন ও সরবরাহ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত সেবা বিক্রির তথ্য গোপন করে চালান ছাড়া সেবা সরবরাহ করে দীর্ঘ দিন যাবৎ সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে মর্মে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাজেদুল হক এবং মুনাওয়ার মুরসালীন, উপ-পরিচালক এর নেতৃত্বে গত ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্পোরেট অফিস- ইসলাম লডস (২য় তলা), হাউজ-১৪, রোড-১৬/এ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে গোয়েন্দার দল দেখতে পান, প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত ঘোষিত বিক্রয় তথ্য গোপন করে মাসিক দাখিলপত্রে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

তদন্ত অনুসারে, ফেমাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮০ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।

এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২% হারে ২ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৫ টাকা সুদ প্রযোজ্য।  

এছাড়া, ফেমাস আইবারকেম ফ্লেভারস অ্যান্ড ফ্র্যাগনেন্সেস লি. ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ লাখ ৬৫১ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় ভ্যাট টঙ্গী সার্কেল-৪ এ মাসিক রিটার্নে ২০ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৩০ টাকা বিক্রিয় হিসাব প্রদর্শন করেছে।

রিটার্ন ও প্রকৃত বিক্রয়ের পার্থক্য পাওয়া যায় ২৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ টাকা। প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করায় এক্ষেত্রে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার ৭০৭ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।

এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২% হারে ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৬ টাকা সুদ প্রযোজ্য।  

বর্ণিত তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠান দুইটির সর্বমোট সর্বমোট ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৮ টাকা রাজস্ব পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হওয়ায় বুধবার ফেমাস গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এসএমএকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।