নীলফামারী: আগামী জুন মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে বাজারে আসছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজ করায় আগেও আসতে পারে এই আম।
হাঁড়িভাঙ্গা আম অত্যন্ত সুমিষ্ট হওয়ায় এবং কোনো প্রকার আঁশ না থাকায় মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার কারণে রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, নীলফামারীর সৈয়দপুর, সদর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা, চিরিরবন্দর প্রভৃতি এলাকায় গড়ে উঠেছে এই আমের বাগান। ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এসব বাগান। চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় বাগানে আম দোল খাচ্ছে গাছগুলোতে। তবে এ বছর এই আমের সাইজ কিছুটা ছোট ও ফলন তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে বলে চাষিরা জানান।
কারণ হিসাবে তাঁরা উল্লেখ করেন, মৌসুমে গাছে মুকুল আসার কারণে প্রচণ্ড খরার কারণে মুকুলগুলো চুপসে ঝরে পড়ে যায়। এক্ষেত্রে সেচের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করেছেন তাঁদের বাগানে আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের সাইজও কিছুটা বড় হয়েছে। এছাড়া দুই দফা শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
রংপুরের বদরগঞ্জ রামনাথপুর ইউনিয়নের আম চাষি সাইদ সরদার জানান, গাছে আম আসার পর থেকে এলাকার মানুষের ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের উপদ্রব শুরু হয়। পাহারা দিয়েও আটকানো যায় না। পৈতৃক ১০ কাঠা জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান করেছি। যদিও পরিচর্যা সেভাবে করতে পারেনি। তবে বাগানটি ৬০ হাজার টাকায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছি। তারা দেখভাল করছেন। আম পাকার সময় হলে তারা এসব ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন।
একই কথা বলেন এলাকার নূরনবী সরদার রাজু। তিনি তাঁর ছোট্ট হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
উল্লেখিত স্থানে সারি সারি হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে। বাগান বেচাকেনাও জমে উঠেছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, দেশের বাজারে সব আম শেষ হওয়ার পর হাঁড়িভাঙ্গা আম বাজারে আসে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সুমিষ্ট আম বাজারে আসবে বলে জানান তিনি। অনেক কৃষক পরিত্যক্ত ও উঁচু জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান করে লাভবান হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
কেএআর