ঢাকা: ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারের তুলনায় প্রতি ডলারে তিন টাকা করে কমেছে।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংক পাড়া, পল্টন ও বায়তুল মোকাররমহ বিভিন্ন এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
মানি এক্সচেঞ্জগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার ১০২ টাকায় ডলার বিক্রি হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক, স্বাভাবিক বাজারে ডলারের দাম বাড়া বা কমা ৫০ পয়সার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এই পরিস্থিতি আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনেকটাই স্বাভাবিক হবে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে জামান মানি এক্সচেঞ্জের প্রোপাইটর এস এ জামান বলেন, মঙ্গলবার ডলারের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। প্যানিক থেকে এই অস্থিরতা শুরু হয়। রিজার্ভ কম থাকলে ডলারের দাম কিছুটা বাড়বে। সে তুলনায় বুধবার বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আমরা ৯৮ দশমিক ৫০ টাকা থেকে ৯৯ টাকায় ডলার বিক্রি করছি। চাহিদার তুলনার ডলারের কিছুটা সংকটও রয়েছে।
তিনি জানান, কমার্শিয়াল ফ্লাইট চালু হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হতে পারে।
এদিকে দাম ওঠানামার মধ্যে থাকলে কাস্টমাররা ডলার বিক্রি করেন। কিন্তু টানা দাম বাড়তে থাকলে কাস্টমারের কাছে ডলার থাকলেও তারা বিক্রি করতে চায় না বলে জানান রেইনবো মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় কাস্টমাররা দাম আরও বাড়ার অপেক্ষায় আছে। এটাও বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার একটি কারণ। তবে বুধবার ৯৮ টাকা দরে ডলার কিনে ৯৮ দশমিক ৫০ থেকে ৯৯ টাকায় বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবার দাম কমার সম্ভাবনা থাকায় ডলার কেনার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা বেশি দামে কিনে দাম কমে গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংক পাড়া, পল্টন ও বায়তুল মোকাররমহ বিভিন্ন এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। এর আগের দিন সোমবার কার্ব মার্কেটে ডলার বিনিময় হয়েছিল ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায়।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে কার্ব মার্কেটে ডলার ৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রফতানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা বাড়ছে। বাজারের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রযোজন অনুযায়ী ডলার সরবরাহ অব্যাহত রাখছে বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এসএমএকে/এনএসআর