ঢাকা: নিত্যপণ্যের দাম কবে নাগাদ মানুষের নাগালে আসবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই, এটির উত্তর জানতে হলে আমাকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, কলকাতায় খবর নিন, সেখানে কত দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। মানুষকে বৈশ্বিক অবস্থা জানাতে হবে।
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দুই আড়াই বছর আমদানি বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক হওয়ায় প্রচুর ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ওপর চাপ পড়েছে। যার ফলে দুই বছরের চাপ একবারে পড়েছে, সেই প্রভাব পড়েছে। জ্বালানিতে তেলের দাম বেড়েছে, সেটার প্রভাব পড়েছে। সবকিছু মিলে প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি দামও বেড়েছে।
বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর আমদানি-রপ্তানি কম ছিল। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। এখন যখন চাপ পড়েছে তখন রিজার্ভ কমে ৪০ বা ৪১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটা বেড়েছিলো সেটা বিশেষ কারণে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা রয়েছে, কোনো কিছুকে বেশি করে দেখানো হয়। এখন মনে হচ্ছে রিজার্ভ শেষ হয়ে গেলো। যেমন পাশের শ্রীলঙ্কায় বিপদ তাই বলে কি আমাদের দেশেও বিপদ? এটা হতে পারে না।
আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ অনেক শক্তিশালী জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনে সাহায্য দিয়েছি। কোনো না কোনো কারণে কেউ না কেউ কোনো একটা সুযোগ পেলেই আমাদের ডিফেন্স করতে হয়। আমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কিছু নেই। ক্রাইসিস বৈশ্বিক, এটা মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। পরিস্থিতি এমন থাকবে না, আমরা পার হয়ে যাবো।
সভায় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ