ঢাকা: ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়ে ছিল পেঁয়াজের। দাম বাড়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
পেঁয়াজের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আর বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বাজারে এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে সে দামেই বিক্রি হবে। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
শুক্রবার (২০ মে) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ১১ বাজার, কালশী বাজার ও ১২ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়।
১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে, মূলত আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন যে দামে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই দামে বিক্রি হবে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে তখন পেঁয়াজের দাম একটু কমবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে পাইকারি পেঁয়াজের দাম কমেছে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছিল। বর্তমানে খোলা বাজারে একটু ভালো মানের পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এর থেকে তুলনামূলক নিম্নমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
কালশী বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জামাল বলেন, আমি একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করি। পাইকারি বাজার থেকে ৩৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে কেজি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩২ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।
মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার ডেইলি মার্ট জেনারেল স্টোরের মালিক শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখন পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি করেছি। শুনেছি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমি এক সপ্তাহ আগে বাড়তি দামে বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছি দোকানের জন্য। সেই বাড়তি দামে কেনা পেঁয়াজ ৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। পরবর্তীতে আবার যখন বাজারে পেঁয়াজ কিনতে যাব তখন যদি দাম কম থাকে কম দামেই বিক্রি করব।
মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার পাটোয়ারী জেনারেল স্টোরের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক পিন্টু বলেন, আমি ৪০ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। উল্টো কমার সম্ভাবনা আছে। আমার মনে হয় আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর