ঢাকা: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ ও আমদানি প্রবণতা কমাতে শতাধিত বিলাসবহুল ও বিদেশি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩মে) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ এ মুমেন বাংলানিউজকে বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা ও আমদানি হ্রাসকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদেশি ফল, ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫ টি এইচ এস কোড ভুক্ত পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ০শতাংশ ও ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যা গত ২৩ মে কার্যকর হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্র ও কাঁচামাল ও জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) আমদানি খরচ বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। আমদানি খরচ যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি সে হারে বাড়েনি। প্রবাসী আয় কমছে। আয় দিয়ে ব্যয় মিটছে না। প্রতি মাসে ঘাটতি হচ্ছে ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে আছে বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ। এসব সংকটে বাড়ছে ডলারের দাম, আর চাহিদা মেটাতে গিয়ে কমছে রিজার্ভ। এমন অবস্থা সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নিল সরকার।
পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমদানি করা বিস্কুট, চকলেট, বিভিন্ন জাতের ফল, জুস ও বিদেশি তৈরি পোশাক, ফার্নিচারের কাঁচামাল ইত্যাদি।
জানা গেছে, এইসব পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি শুল্কহার কার্যকর হলে দেশীয় বাজারে পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যাবে।
এনবিআর বলেছে, সাময়িকভাবে এ শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এসএমএকে/এসআইএস