ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নেই মেঘনায়

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নেই মেঘনায়

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছের অকাল দেখা দিয়েছে। নদীতে জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা।

জেলেরা জানান, গত দুই বছর আগে মৌসুমের এ সময়ে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তো। কিন্তু এখন নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার কমলনগর উপজেলার লুধুয়া এলাকার ট্রলার মালিক হারুন মিয়া নয় জনের একটি দল নিয়ে নদীতে যান মাছ শিকারে। পাঁচ দিন টানা নদীতে জাল ফেলেছেন তারা। এই পাঁচ দিনে ট্রলারের জ্বালানি, জেলেদের খাওয়া খরচসহ আনুষঙ্গিক মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু তারা যে মাছ পেয়েছেন তা ঘাটে এনে বিক্রি করেছেন ৩৮ হাজার টাকায়।

এতে ট্রলার মালিক হারুনের ১২ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। আর জেলেরা পাঁচ দিন নদীতে থেকেও কোনো আয় করতে পারেননি।

হারুন মিয়ার ট্রলারে থাকা জেলে আবদুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, লোকসান হলেও মাছ পাবার আশায় পুনরায় নদীতে জাল ফেলবো। তাই জালসহ সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি। নদীতে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। প্রতিদিন মাছ পাবার আশায় নদীতে জাল ফেলি। এ মুহূর্তে তেমন একটা মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো ভরা মৌসুমে লোকসান পুষিয়ে আসবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহনের জেলে ও ট্রলার মালিক গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে মাছের পরিমাণ একেবারে কম। তাই আপাতত নদীতে যাওয়া বন্ধ দিয়েছি।

একই এলাকার জেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, দলবেঁধে নদীতে মাছ শিকার করি। যে মাছ পাচ্ছি, তা বিক্রি করে ট্রলার মালিকের খরচও উঠাতে কষ্ট হচ্ছে। নদীতে মাছ ধরেও তেমন আয় রোজকার নেই। সামনে ঈদ। পরিবার পরিজন নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কমলনগর উপজেলার মতিরহাট মাছ ঘাটের আড়ৎদার মিলন ভাণ্ডারী ও নুরনবী বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ থাকলে ঘাট মুখরিত থাকতো। কিন্তু মাছ না থাকায় ঘাটে জেলে এবং ক্রেতাদের ভিড় একেবারে নেই। যে মাছ পাওয়া যায়, তা চড়া দামে বিক্রি করতে হয়।

এদিকে নদীতে মাছের অকাল থাকা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর মাছ ব্যবসায়ী শরীফ হোসেন বলেন, ঘাটে মাছের পরিমাণ একেবারে কম। তাই বাড়তি দাম দিয়ে মাছ কিনতে হচ্ছে। ফলে  বাড়তি দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে।

কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, এ মুহূর্তে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। তাই সাগরের মাছ নদীতে আসছে না। সাগরে মাছ ধরা শুরু হলে কিছু মাছ নদীতে চলে আসবে, তখন মেঘনার জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।