রাঙামাটি: রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের মাছ ধরার ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।
বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিএফডিসির বাস্তবায়ন বিভাগ-১ এর ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে শুল্কহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। গত ২৭ জুলাই কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র রাঙামাটির ব্যবস্থাপক বরাবর এ অফিস আদেশ পাঠানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, কাঁচা মাছ হিসেবে রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, মহাশৌল মাছ তিন কেজির ওপরে হলে শুল্ক ৪২ টাকা আর এক থেকে তিন কেজির মধ্যে হলে ৪০ টাকা এবং এক কেজির নিচে হলে ২৭ টাকা। আবার কাজরি, গ্রাস কার্প, বোয়াল, ঘনিয়া, নাইলোটিকা, বাঁশপাতা ও বাতাসি মাছের শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা। কৈ, শিং, মাগুর, সাদা টেংরা, বাচা, কালিবাউশ ও আইড় মাছ আধা কেজির বেশি হলে শুল্ক ৪০ টাকা।
তেলাপিয়া, সরপুঁটি, সিলভার কার্প ও বিগহেড মাছের শুল্ক ২৮ টাকা। চাপিলা, মলা, কাচকি, মলা, চান্দা, কুচো চিংড়ির শুল্ক ২০ টাকা। ফলি, শৌল, গজার, বাইন, টাকি, আধা কেজির নিচে আইড় মাছ, কালো টেংরা, বাটা ও কাকিলা মাছের শুল্ক ২৭ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুকনো মাছ হিসেবে (শুঁটকি) চাপিলা, কাচকি, পুঁটি, কাটা মলা, কুচো চিংড়ি, ঠুইট্টা, গুঁড়া মলা, সরপুঁটি, কাজরি, কাকিলা ও বাঁশপাতা মাছের শুল্ক ৬৩ টাকা।
অন্যদিকে তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, বোয়াল, আইড়, কালিবাউশ, কমন কার্প, ঘনিয়া, নাইলোটিকা, বাটা, ফলি, টাকি, শৌল ও গজার মাছের শুল্ক ধরা হয়েছে ৯০ টাকা। শুধু রুই, কাতল, মৃগেল, মহাশৌল ও চিতলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শুল্ক ধরা হয়েছে- ১৬৬ টাকা। তবে সব প্রজাতির মাছের মাথার শুঁটকিতে ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা শুল্ক।
বিএফডিসির রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গড়ে সব মাছে ২০ শতাংশের নিচে শুল্কহার বেড়েছে। আগে যে মাছের শুল্ক ছিল সাড়ে ১৭ টাকা, সেটি এখন ২০ টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এসআই