ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রতি মাসেই মূল্য নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
প্রতি মাসেই মূল্য নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে পণ্যের মূল্য প্রতিমাসেই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সংগঠন, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে কিছু পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা আদায় নয়, কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্য তেলের মূল্য বাড়ার কারণে সরকার ভোজ্যতেলের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে পণ্যের মূল্য প্রতিমাসেই নির্ধারণ করে দেবে। অবিলম্বে এ কাজ শুরু করা হবে। পণ্যগুলো হলো চাল, গম (আটা, ময়দা) ভোজ্যতেল (সয়াবিন, পাম), পরিশোধিত চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, রড এবং সিমেন্ট। এছাড়াও কোনো পণ্যের অযৌক্তিক মূল্য বাড়ানো হলে সেগুলোরও মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার।

টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম ওয়েল এর মূল্য কিছুটা কমলেও ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে, কিছুদিন পর পর এর মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার ইতোমধ্যে চাল আমদানির ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তবে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষার নামে যাতে কেউ অনৈতিক সুযোগ নিতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভাটি পরিচালনা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যা ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলাম, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

সভায় আলোচ্য বিষয়ের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ কে এম আলী আহাদ খান, এফবিসিসিআই এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাম চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

আরও পড়ুন>>

>>> দাম বেশি নিলে ডাইরেক্ট মামলা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।