ঢাকা: চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে আরও ৪৫ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রয়েছে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ৮১ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৯ হাজার টন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা বিশিষ্ট) সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুন:প্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি পাঠানো হয় এবং অনুমতিও মেলে।
অস্থিতিশীল চালের বাজার। স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামল। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস