ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘অক্টোবরে পোশাক খাতে রফতানি আয় ২০ শতাংশ কমার শঙ্কা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
‘অক্টোবরে পোশাক খাতে রফতানি আয় ২০ শতাংশ কমার শঙ্কা’ ছবি: রাজীন চৌধুরী 

ঢাকা: অক্টোবর মাসে পোশাক খাতে রফতানি আয় ২০ শতাংশ কমার শঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমইএ-এর প্রধান কার্যালয়ে মেইড ইন বাংলাদেশ উইক এবং ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশনসহ পোশাক শিল্পের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

ফারুক হাসান বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে রফতানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ক্র‍য়াদেশ ধাপে ধাপে কমছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ,  বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে।

শিল্প কারখানায় গ্যাস বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস- বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমদের পোশাক শিল্পেও পড়েছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুইভাবে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। অন্যভাবে, অধিক সময় জেনারেটর চালানোর কারণে জেনারেটরগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। এতে করে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।

শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার দাবি তুলে ফারুক হাসান বলেন, সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ রফতানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। অন্যথায় রফতানি আয় ক্রমাগত কমতে থাকবে। এতে নভেম্বর মাসেও রফতানি আয় হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাবে।

বিজিএমইএ সভাপতি উৎসে কর এবং সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে বলেন, উৎসে কর যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি পূর্ববর্তী বছরের মতো একই পর্যায়ে রাখা হোক। একইসঙ্গে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে এনে রফতানিমুখী শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি দেওয়া যায় কিনা সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ ভবনে ‘সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্স অ্যান্ড ওএসএইচ’ সেন্টারের উদ্ভোধন করেন ফারুক হাসান।  

ইনোভেশন সেন্টারের গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি এবং অটোমেশন। আমরা এমনভাবে কাজ করতে চাই, যাতে করে আগামী চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জগুলো সুযোগে পরিণত করতে পারি। এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে ইনোভেশন সেন্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সহায়তা দেবে।  

ফারুক হাসান আরও বলেন, আমরা যদি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পারি, স্বচ্ছতা এবং ট্রেসেবিলিটি বাড়াতে পারি এবং ক্রেতাদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং গ্রীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারি, শিল্পকে টেকসই করতে পারি, তাহলে আমাদের রফতানি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। শিল্পটি প্রত্যক্ষভাবে আরও ১০ মিলিনিয়রেরও বেশি এবং পরোক্ষভাবে ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড লিংকেজ মিলে আরও ৪০ থেকে ৫০ লাখেরও অধিক কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। ইনোভেশন সেন্টার এই বিষয়গুলোতে আমদের সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পের জন্য একটি পথনকশা তৈরি করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমকে/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।