ঢাকা: রাজধানীর দশটি বিদ্যালয়ের ৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় বারের মতো বৃত্তি দিলো আবাসন শিল্পে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কনকর্ড গ্রুপ। একই সঙ্গে পেশাগত দায়িত্বে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য দশ বিদ্যালয়ের দশ জন শিক্ষককে সম্মাননা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুক্রবার আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে বৃত্তির চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
মেধাবী ও অদম্য শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কনকর্ড গ্রæপের এই প্রয়াস। ২০১০ সাল থেকে এই আয়োজন করে আসছে কনকর্ড গ্রæপ। আয়োজনের সহযোগী ফ্যান্টাসি কিংডম।
কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন কনকর্ড গ্রæপের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দিন। তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। কৃতি শিক্ষকদের হাতে ২০ হাজার টাকার চেকসহ সম্মাননা তুলে দেন ব্যবস্থপনা পরিচালক এস কে লালা।
অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন কনকর্ড গ্রæপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার কামাল। তাদের প্রত্যেকে পেয়েছে ২০ হাজার টাকা।
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ওয়াইডবিøউসিএ উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট আনোয়ার গার্লস কলেজ, ধানমণ্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ফাইজুর রহমান আইডিয়াল স্কুল এবং এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ।
কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দিয়ে এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের উদাহরণ। অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে এগিয়ে আছে। তাই জনসংখ্যা বোঝা নয়। তারা সম্পদ।
তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, টাকা থাকলেই সব কিছু হয় না। মানুষকে বড় হতে গেলে সাহস ও মানসিকতার প্রয়োজন। সাহসটা অবশ্যই সৎসাহস হতে হবে। দুটোর সমন্বয় থাকলে কেউ লক্ষ্যচ্যুত হবে না। তাদের জীবনে সাফল্য আসবে।
তিনি বলেন, আজকে যারা বৃত্তি পেলো, তাদের মধ্যে অনেকেই বড় হবে। দেশের জন্য অবদান রাখবে। এ বছরই চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদেরও বৃত্তি প্রদান করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এস কে লালা বলেন, নতুন প্রজন্মের হাত ধরে গড়ে উঠবে আগামী দিন। তাদের আদর্শ যাতে ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ দায়িত্ব আমাদের সবার। তবে দায়িত্বে পার্থক্য রয়েছে। কনকর্ড ব্যবসার পাশাপাশি সেই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
শাহরিয়ার কামাল বলেন, আমরা চাই পৃষ্টপোষকতার অভাবে সমাজের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনাও যাতে বন্ধ না হয়। আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হতে তাদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে শিক্ষিত হতে হবে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সারা দিন ফ্যান্টাসি কিংডমে আনন্দে মেতে ওঠে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১২
এসএআর
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর