রাবি: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ খান সজীব হত্যার ঘটনায় ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলেছে।
রোববার থেকে রুয়েটে নিয়মিত ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুয়েটের জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মুর্ত্তজা।
তবে সজীব মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। আতষ্ক নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরছেন। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আজিজ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ ছাত্রকে কারণ দর্শাও নোটিস দিয়েছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর জবাব না দেয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুয়েটের শৃঙ্খলা কমিটি।
নোটিস প্রাপ্ত ১০ ছাত্ররা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সুফিয়ান আলম, এস এম এনামুল হক, শফিক আহমেদ তানভীর, মির্জা আবু গোলাম রাসেল, আহমেদ রুহুল কুদ্দুস ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহমেদ, ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তানভীর আহমেদ, একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোহায়েমিনুল হক পলাশ, সুলতান রাজিবুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।
এরা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সিরাজুল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আজিজ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিসত্তর অভিযুক্তদের ডাকযোগে শোকজ নোটিস পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন “আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের বহিষ্কারও করা হতে পারে। ”
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে গত ১২ মার্চ রুয়েট ক্যাফেটোরিয়ার সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগের ২কর্মী আজিজ খান সজিব ও রনি।
এদের মধ্যে প্রথমে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও পরে গত ১৫ মার্চ গভীর রাতে ঢাকার সাভারে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল আজিজ খান সজীব। এতে রুয়েটের সকল কার্যক্রম ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১২
জনাব আলী
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর