ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঘাতকদের বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে: দীপু মনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
ঘাতকদের বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে: দীপু মনি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড একাত্তরে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ঘৃণ্যতম। এসব হত্যাযজ্ঞে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। সব ঘাতকের বিচারের মাধ্যমেই জাতি দায়মুক্ত হতে পারে। এই দায়মুক্তির কাজ বর্তমান সরকারের অধীনেই সম্পন্ন করা সম্ভব।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।

দীপু মনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশীদার ছিলেন। স্বাধীন দেশের জন্য মানুষকে নানাভাবে তারা উদ্বুদ্ধ করতেন। এজন্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু ডিগ্রি বা সনদ দিলে হবে না। শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিকতা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে লাখো শহীদ জীবন দিয়েছেন, সেই স্বপ্ন পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল, একেবারে শেষ দিকে এসে তা পরাজয়ের আগ-মুহূর্তে রূপ নেয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে।  

তিনি বলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তখন তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির প্রথিতযশা ব্যক্তিদের। এসব হত্যার কারণ স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিলেন স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় আলোচনায় শহীদ পরিবারের সদস্য ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, তানভীর হায়দার চৌধুরী, শমী কায়সার ও রোকাইয়া হাসিনা নীলি একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১১, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২  
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।