ঢাকা: দেশের ১০টি উপজেলার ৫৩৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিগগিরই উচ্চমানসম্পন্নবিস্কুট বিতরণ শুরু হবে।
সরকারের এ পাইলট প্রকল্পের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, পাবনার বেড়া, যশোরের ঝিকরগাছা, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, হবিগঞ্জের লাখাই, পটুয়াখালীর দশমিনা, লক্ষীপুরের রামগতি ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার ইউরোপিয় কমিশন (ইসি) সাহায্যপুষ্ট স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সপ্তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ, কে, এম আবদুল আউয়াল মজুমদারের সভাপতিত্বেঅনুষ্ঠিত এ সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ কামাল, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মশিউর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান নুরুল করিম মজুমদার, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে গত বছরের আগষ্ট মাস হতে প্রকল্প এলাকার ৬১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ লাখ ছাত্রছাত্রীর মাঝে অতি উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট দেয়া হচ্ছে।
একই এলাকার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চমান সমৃদ্ধ বিস্কুট প্রদানের প্রস্তাব গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন লাভ করায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্যের অবসান হলো।
এখন হতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ১৫২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রীর প্রত্যেকে বিদ্যালয় দিবসে ৭৫ গ্রাম বিস্কুট দেওয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিস্কুটের ব্যয় বহন করছে ইসি, আর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিস্কুটের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট খাওয়ানোর এ উন্নয়ন প্রকল্প আগামী ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৭৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে।
বাংলাদশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১২
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর