ঢাকা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী নিজেকে সরকারের নয়, সংসদের অংশ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষাখাতে ব্যয়ের চেয়ে কিছু উত্তম থাকতে পারে না। আমি সরকার হলে এটাই করতাম।
শিক্ষাখাতে তাৎপর্যময়ভাবে বাজেট বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জিডিপির ৪ শতাংশ এখাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিৎ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আমার অধিকার ক্যাম্পেইন’র উদ্যোগে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং সবার জন্য মান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা: জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ’ শীর্ষক প্রাক্ বাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো বা কমানোর কোনই ক্ষমতা আমার নেই। তবে নাগরিক হিসেবে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
তদবির নামক বিষয়টি আমাদের শিক্ষাখাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি নিজেও এই দোষে দোষী, তবে এ সংস্কৃতি পরিহার করা জরুরি। শিক্ষাখাতের অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া রাতারাতি প্রাথমিক শিক্ষাস্তরকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থান সংকুলান নিয়ে আমি দ্বিধায় রয়েছি।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমাদের দেশে গলার জোড় যাদের বেশি তারাই বাজেটে বেশি বরাদ্দ পায়। আমাদেরকেও গলার জোড় বাড়াতে হবে। অন্যান্য খাতে কমিয়ে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ালে জাতির ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় হবে। আর দারিদ্র নিরসনে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। ’
অধ্যাপক ড. অজয় রায় বলেন, বই ছাপানোর আগেই মূল্যায়ন করতে হবে। আমি আমাদের দেশের বইয়ের মানে আমি সন্তুষ্ট নই। কাগজ এবং ছবি শিশুদের বয়স উপযোগী নয়। সিলেবাস তৈরিতে শ্রেণী শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশে শক্ত কিছু ইনস্টিটিউট রয়েছে তারা যা চাইবে তা অর্থমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীও দিতে বাধ্য হবেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আমার অধিকার ক্যাম্পেইনের চেয়ারপার্সন ড. নিলুফার বানু। মুল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘন্টা, এপ্রিল ৮, ২০১২
ইএস/এএমএন; সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর