হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম দফার ফলে বৃত্তি পেলেও দ্বিতীয় দফার ফলে তাদের নাম ওঠেনি। কিছু শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে নাম ও রোল নম্বরের বিভ্রান্তিও রয়ে গেছে।
বৃত্তি পাওয়ার খবরে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বারের ফলে বৃত্তি না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছে শিশুগুলো।
এদিকে জেলা শহরের টাউন মডেল সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৭২ রোল নম্বরের শিক্ষার্থী ইসমাইল বৃত্তি পরীক্ষা দেয়নি। তবে প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলাফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকায় তার নাম আসে। কিন্তু এ ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করার পর দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত ফলে তার নাম আসেনি।
টাউন মডেল বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনিয়া আক্তারের মেয়ে খায়রুল জান্নাতের রোল নম্বর ছিল ৭২। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তালিকায় তার নাম এলেও রোল নম্বর ৭২ এর স্থলে ৭৩ উঠেছে।
প্রথম দফার ফলাফলে বৃত্তি পাওয়ায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও তিন ছাত্রী আনন্দ উল্লাস করে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ফলে তাদের নাম না আসায় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। নতুন ফলে এ বিদ্যালয়ের অন্য তিনজনের নাম আসে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মওলা বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দফায় জেলা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ফলাফল আসেনি। শেষবার যে ফলটি এসেছে, সেটিই চূড়ান্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষায় হবিগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে ভালো ফল অর্জন করেছে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন ট্যালেন্টপুলে এবং বাকি তিনজন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।
এছাড়া হবিগঞ্জ শহরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন অংশ নিয়ে ২২ জন বৃত্তি পেয়েছে। এদের ২১ জন ট্যালেন্টপুলে ও একজন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এসআই