জাবি: ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছেন ‘জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট’-এর নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে করে উপাচার্য বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ‘জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট’-এর সভাপতি কলি মাহমুদ বলেন, ‘১১ দফা দাবি আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবিগুলি যৌক্তিক। তাই, আমাদের দাবিগুলি মানতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা চলছে, তা অনতিবিলম্বে দূর করতে হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা যদি আপনি দূর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে নিজ দায়িত্বে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাসের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দিন। ’
ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসী ও অছাত্রদের অনতিবিলম্বে হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মিছিল ও সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত ১০টি সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার ১১ দফা দাবিতে উপাচার্য বাসভবনে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপাচার্যের সচিব মো. আমজাদ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট-এর নেতাকর্মীরা।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের দাবিগুলো হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন করে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা এবং এর জন্য উপাচার্য হিসেবে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সব আবাসিক হলের সিট বরাদ্দ প্রশাসনিকভাবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়া, ক্যাম্পাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল, পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল সেন্টার নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো লেক ও জমি ইজারা না দেওয়া এবং ইজারা দেওয়া লেক ও জমির ইজারা বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষার্থী সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিভিন্ন ছাত্র প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর বাতিল ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য দ্বিতীয় পরীক্ষক অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া এবং বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল ও শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা, ক্যাম্পাসের সব খাবার দোকানের খাবারের মূল্য হ্রাস করে সমমূল্য ধার্য করা, টিএসসিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট-এর স্থায়ী রুম বরাদ্দ দেওয়া, মুক্তমঞ্চ অবিলম্বে সংস্কার ও আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা।
এছাড়া গাড়ি, মাইক ও মঞ্চ বুকিংয়ের জন্য যাবতীয় প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত প্রত্যেক সংগঠনের বার্ষিক অনুদান সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর