ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

লিফটে আধা ঘণ্টা আটকা, অঘটন থেকে বাঁচলেন ১০ জাবি শিক্ষার্থী

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
লিফটে আধা ঘণ্টা আটকা, অঘটন থেকে বাঁচলেন ১০ জাবি শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ২১নং হলের লিফটে আধা ঘণ্টা আটকে পড়েছিলেন ১০ শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে প্রচণ্ড ঘামসহ শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাদের।

 

পরে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি এসে তাদের উদ্ধার করলে বড় অঘটন থেকে বেঁচে যান ১০ শিক্ষার্থী।  

৩০ মার্চ (বুধবার) ভোর ৪টার দিকে সাহরি খেয়ে রুমে ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।  

দীর্ঘ সময় আটকে থাকলেও দায়িত্বরত কারও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ তম আবর্তনের সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা লিফটের ভেতরে আটকে ছিলাম। সময় যত গড়াচ্ছিল গরম বাড়ছিল । আমরা ১০ জন ভেতরে প্রচণ্ড ঘামতে থাকি। এরপর শ্বাস নেওয়ার জন্য আমরা লিফটের দরজা স্যান্ডেল দিয়ে একটু ফাঁকা করে রেখেছিলাম। এটা না করলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আমাদের। পরে ইলেকট্রিশিয়ান এসে ৩০ মিনিট পর আমাদের উদ্ধার করেন।  

এর আগে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অভিযোগ এ শিক্ষার্থীর।  

তিনি বলেন, লিফট আটকে যাওয়া এখন আমাদের হলের নিত্য পরিচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাঝেমাঝেই ঘটছে এটি। এখানে হল প্রশাসনের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই? এখানে যদি ১০ জনের জায়গায় শুধু একজন থাকতো, আর দুর্ভাগ্যক্রমে যদি তার কাছে কোন ফোন না থাকতো তাহলে কি হতো?

হলের প্রশাসনিক অফিসার লিয়াকত আলী বলেন, থার্ড পার্টি কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে আমাদের হলে লিফটের কাজ করানো হচ্ছে। তারা লিফটের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো ঠিকমত কিনছে না। এখনও একটি লিফট ও হল প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সমস্যার কথা তাদের বললে তারা বলে, লিফটের কাজ তো এখনো শেষ হয়নি।

এবিষয়ে এ ব্যাপারে ২১নং হলের প্রাধ্যক্ষ তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, আমাকে হল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু লিফটগুলো বুঝিয়ে দেয়নি। সেজন্য আমি এগুলোর দায়িত্ব পাচ্ছি না। আমি বারবার কর্তৃপক্ষ বরাবর কথা বলে ও লিফটের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এর সুরাহা পাচ্ছি না। তবে এখন আমি বার বার তাগাদা দেওয়ায় দ্রুত কাজ এগুচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দীনকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, জাবির ২১ নাম্বার হলের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করা হয়। লিফটগুলো এখনো প্রস্তুত হয়নি। এছাড়া ক্যান্টিন এবং ডাইনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।