ঢাকা: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৮৬.৩৭ শতাংশ। এবারের পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮২ হাজার ২১২ জন শিক্ষার্থী।
গতবছর ২০১১ সালে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এবার গতবারের তুলনায় পাসের হার ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১০ সালে এ হার ছিল ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও রেকর্ড
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও হয়েছে রেকর্ড। গতবছরের চেয়ে এবার ৫ হাজার ৪৬৩ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১১ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ১৩৪ জন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর
সোমবার সকাল ১০টায় গণভবনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এরপর দুপুরে ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডসহ মোট ১০টি বোর্ডের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
বিভিন্ন বোর্ডে এরই মধ্যে ফল পাঠানো হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সিলেট বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এই বোর্ডে পাস করেছে ৯১.৭৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এছাড়া ঢাকা বোর্ড ৮৫.৯৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ড ৭৮.৯৬ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৮.৩৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৬.৯৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫.৬৪ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭.১৬ শতাংশ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৮৭.১৬ পাস করেছে।
৮ টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ১০ টি বোর্ডের অধীনে সারাদেশে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ জন। এদের মধ্যে পাশ করেছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৪ জন। সকল বোর্ড মিলিয়ে সারাদেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ হাজার ২১২ জন।
৮ টি সাধারণ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল ১০ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৪ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৭৫৬ জন। সাধারণ এ বোর্ড গুলোতে পাসের হার ৮৬.৩২ শতাংশ। এ বোর্ডগুলোতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫ হাজার ২৫২ জন। আটটি বোর্ডে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৮ জন।
সব বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৬২৯ জন। আর সবচেয়ে কম জিপিএ-৫ পেয়েছে সিলেট বোর্ড। এ বোর্ডটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১১ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৭২ জন এবং অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৯৩ জন। পাসের হার ৮৮.৪৭ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৪৩৬ জন। গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ২০৫ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী অংশ নেয় ৯১ হাজার ১৭০ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ৭৩ হাজার ৫৬৬ জন। যেখানে পাসের হার ৮০.৬৯ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫২৪ জন। এখানে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৪ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩১৯ জন বেশি।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল জানতে টেলিটক থেকে আরইজি (REG) টাইপ করে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করতে হবে। যেমন ঢাকা হলে ডিএইচএ, রাজশাহী হলে আরএজে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর টাইপ করে তা পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। টেলিটক থেকে জবাবি এসএমএস’র মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে ফল। অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকেও সে বোর্ডের ফল জানা যাবে।
তবে বেলা আড়াইটার আগে মোবাইল বা ওয়েবসাইটে ফলাফল জানা যাবে না বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার।
- ক্যাডেট কলেজের ধারাবাহিক সাফল্য
- কলেজে ভর্তি: আসন নয় মানের সংকট
- সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে সাফল্য, নোট-কোচিং কাজে আসেনি
- সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় মতিঝিল আইডিয়াল
- সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের চোখে আনন্দাশ্রু
- মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস
- কারিগরিতে জিপিএ-৫ বেড়েছে দ্বিগুন
- পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে
- ৩ হাজার ৩৭৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
- বাংলাদেশ ইন্টা. স্কুল রিয়াদে শতভাগ পাশ
- প্রত্যাশিত ফল পায়নি ভিকারুন নেসা
- আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী: শেখ হাসিনা
- ঢাকা বোর্ডে ৫ম রেসিডেনসিয়াল, ৯১.১২ ভাগ পাস
- চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও দেশের মধ্যে সর্বশেষ
- জিপিএ-৫: শীর্ষে ঢাকা, শেষে সিলেট
- সিলেট বোর্ড সেরা, পাস ৯১.৭৮%
- ১৪ টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি
- পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রেকর্ড
- সারাদেশে প্রথম রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
- এসএসসিতে রাজশাহী বোর্ড সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়
- সোমবার এসএসসির ফল: টেলিটক, ওয়েবসাইটে জানা যাবে
- এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে সেরা ১০, প্রথম স্থানে রাজউক
- বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬.৯৬ শতাংশ
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
এমএন/এমইউএম/এডিএ/এনএস/এমএমকে ; সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
Jewel_mazhar@yahoo.com