ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে চার শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে চার শিক্ষার্থী

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় কারাগারে বসে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা দিচ্ছে অপহরণ ও হত্যা মামলার চার আসামি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া ধর্মপুর ডিডি এম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিল।  

বাকি দুজন হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আজাদ আকন্দের ছেলে ও সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী নাহিদ আকন্দ এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কালাম শিকদারের ছেলে ও নলডাঙ্গা ডব্লিউ সি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী কাওসার শিকদার।

তারা দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রোববার (৩০ এপ্রিল) বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ চার শিক্ষার্থীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ও বাদশা মিয়া হত্যা মামলার আসামি। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। অপর দুজন নাহিদ আকন্দ ও কাওসার সিকদার চলতি বছরের একটি হত্যা মামলার আসামি।  

গাইবান্ধা জেলা কারাগারের সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চার পরীক্ষার্থী গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। রোববার প্রথম পরীক্ষা দিয়েছে তারা। কারাগারের পরীক্ষা কক্ষে ডেপুটি জেলার, একজন শিক্ষক এ অন্যান্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।  

গাইবান্ধায় ৭৩টি কেন্দ্রের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে এসএসসি ২৭ হাজার ৩৪৭, দাখিল ৪ হাজার ৯১৯, ভোকেশনাল ২ হাজার ৭৫২ ও দাখিল (ভোকেশনাল) ৫৫ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।