ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল ফাঁকি দিয়ে দেওয়ানগিরি করবেন না- গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১২

দিনাজপুর: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন, এমপি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘শিক্ষকরা দেওয়ানগিরি করবেন; কিন্তু,স্কুল ফাঁকি দিয়ে তা অবশ্যই নয়। ’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছে। তাই, আপনারাও তার সঙ্গে থাকুন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার সব দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ  করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা করবে বর্তমান সরকার। ’

রোববার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মনোরঞ্জনশীল গোপাল, এমপি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  মো. আব্দুল লতিফ মজুমদার, দিনাজপুর পিটিআই-এর সুপার রওশন আলী, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমজিএম সারোয়ার, বোচাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন নাহার বেগম প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প-৩ এর আওতায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১ কোটি ৭৩ লাখ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই দিয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় আসার পর “মিড দ্য মিল” বা মধ্যাহ্ন ভোজ চালু করেছে। এই সরকারের আমলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ৮৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে ৬ কক্ষের নিচে সব বিদ্যালয়ের ভবন পাকা করা হবে এবং ২২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে। ’

তিনি বলেন, ‘৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু এক সঙ্গে ৩৭ হাজার বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করুন। তিনি আপনাদের সহযোগিতা করবেন। ’

প্রতিমন্ত্রী এসময় জানান, প্রতিটি উপজেলায় ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষক এবং ১০ হাজার বিদ্যালয়ে ১ জন করে নাইটগার্ড নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন, সে জন্য সরকার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা করবে।

অনুষ্ঠানে ১৩ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।