ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা শেষ হতেই সংঘর্ষে জড়াল পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ, আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
ভর্তি পরীক্ষা শেষ হতেই সংঘর্ষে জড়াল পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ, আহত ১০

পাবনা: প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সদস্যরা।

শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওই সংঘর্ষ শুরু হয়।

এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীরা জানান, আজ (২০ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় ছাত্রলীগের কর্মী নাজমুল ও প্রান্তের মূল ফটকে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও মো. নুরুল্লাহর কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুপুরে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে। এত উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বাবু ও নুরুল্লাহ গ্রুপের দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনায় কিছু সময়ের মধ্যে সংঘর্ষ ও ক্যাম্পাসসহ বঙ্গবন্ধু হলের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সভাপতি ফরিদুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকরা সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সমর্থকদের ওপরে হলের মধ্যে গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েক জনের হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে আসেন। তবে গুরুতর আহত অবস্থায়  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর নাঈম ইমন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক ছালমান খান, আমির উদ্দিন, রাসেল হাসান রিয়াদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ঝামেলা হয়েছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

ঘটনার বিষয়ে পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাস্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আশা করছি, আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।