ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

আইডিয়াল স্কুলের দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিচার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
আইডিয়াল স্কুলের দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিচার দাবি

ঢাকা: রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিচার ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম।

বুধবার (৩১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও দাতা সদস্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান দাতা সদস্য ষাটোর্ধ্ব খন্দকার মোস্তাক আহমেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে গত দুই বছর যাবৎ অবৈধ মেলামেশা ও সম্পর্ক স্থাপন করায় নৈতিক ও চারিত্রিক স্খলন ঘটেছে। এক পর্যায়ে অভিভাবকদের চাপে সম্প্রতি তৃতীয় বিয়ে করতে খন্দকার মোস্তাক বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

জনশ্রুত রয়েছে, কোনো কোনো শিক্ষিকার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল ও আছে। তিনি ইতিপূর্বে চারবার এই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন এবং ভর্তি বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক-অভিভাবিকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই কমিটি সরকারি ভর্তি নীতিমালা অমান্য করে লটারি ছাড়া শিক্ষার্থী প্রতি ৫/৬ লাখ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী চলমান ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করায় এবং এনটিআরসিএ’র বাইরে সরকারি অনুমোদন ছাড়া এ বছর শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য করে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করছে। ২০১৭ সাল থেকে একই ব্যক্তি সভাপতির পদ দখল করে একাধারে সাত বছর যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে সিন্ডিকেট গঠন করে বিভিন্ন খাত সৃষ্টির মাধ্যমে লুটপাট করছে। অথচ সভাপতিকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না। অথচ তাকেই জবাবদিহি এবং শাস্তির বাইরে রাখা হয়েছে। ’

এদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)-কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।