ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ডিশ বিল নিতে এসে জাবি ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে মারধর-ছিনতাইয়ে অভিযোগ

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
ডিশ বিল নিতে এসে জাবি ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে মারধর-ছিনতাইয়ে অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ফারুক মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তুলে এনে মারধর ও ২৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা।

 

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁঠাল বাগান এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, নওশাদ হোসাইন, স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রকি, এবং সহসম্পাদক রাজিবুল হক পান্থ ও আব্দুর রহিম।  

ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পানধোয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পানধোয়া বাজারের একটি ডিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্টাফ।

ভুক্তভোগী ফারুক মিয়ার অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় আমবাগান সংলগ্ন এলাকাতে ডিশ বিল সংগ্রহের সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামের নির্দেশে উঠিয়ে নেওয়া হয়।

পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঠালবাগান এলাকার নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে মারধর ও ২৬ হাজার টাকা কেড়ে নেয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার।


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া বলেন, মঙ্গলবার  রাতে এশার নামাজের পর আমি স্থানীয় কয়েকজনের বাসা থেকে ডিশের বিল তুলতে যাই। এ সময় পান্থ, রকি এবং নওশাদ আমাকে তুলে কাঁঠাল বাগান নিয়ে যায়। ওখানে একটা নির্জন স্থানে রেখে মারধর করে। পরবর্তীতে আমার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি অসুস্থ। আমার হার্টে রিং লাগানো। আমি তাদের বলেছি এভাবে টর্চার করলে আমি মারা যাবো। তারা আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পানধোয়া বাজারের ডিশ ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, এনামের নেতৃত্বে আল বেরুনি হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমার কাছে অনেক দিন থেকে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। তাদের দাবি না মেনে নেওয়ায় গত ১৬ জুলাই আমার দোকানে ভাঙচুর করে। গতকাল রাতে আমার কর্মচারীকে তুলে নিয়ে যায়। এবং তার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকাও  নিয়ে যায়।  

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নওশাদ হোসেন এবং সহসম্পাদক রাজিবুল হক পান্থ। তারা বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। ফারুক নামের কাউকে চেনেন না৷

অপর অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন রকি এবং আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।  

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেয়াদবি করায় ফারুককে আমার ছেলেরা চড়-থাপ্পড় মেরে ছেড়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। তবে কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে তাহলে অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে আমরা কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। আমাদের দপ্তর সেল আছে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেখানে জানাতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।