ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

তিন শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
তিন শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের আট বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষা গত ১৭ আগস্ট শুরু হলেও আর বন্যার কারণে বাকি তিন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে আজ রোববার (২৭ আগস্ট)।  

এদিন সকাল ১০টা থেকে বাংলা আবশ্যিক প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলেও ফলাফল একই দিনে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবার সব মিলে পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারাদেশে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছর সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারাদেশে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।

দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেবে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৫১ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৩ জন। মোট কেন্দ্র এক হাজার ৫৩৫ এবং মোট প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬৪৭টি।

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৯৮ হাজার ৩১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৬৩ জন এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। মোট কেন্দ্র ৪৪৯টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৮টি।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেবেন এক লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ১৪৪ জন। মোট কেন্দ্র ৬৭৪টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮৩৪টি।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।  

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে প্রবেশ করবে। তবে তার এই দিনের দেরিতে প্রবেশের কারণ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। তবে তা সাড়ে ১০টার বেশি হবে না।

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরীক্ষা হল থেকে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবারও স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে শিক্ষাবোর্ড। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। অনুমতি পেলেও ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।  

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দেবে। তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিনড্রোম, সেবিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীরাও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন। তারা শিক্ষক, অভিভাবকদের সাহায্য নিতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।