ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে বৃত্তির বদলে অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
প্রাথমিকে বৃত্তির বদলে অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা

ঢাকা: প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দিয়ে ক্ষুদ্র অলিম্পিয়াড, বাংলা অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের উপস্থিতে সচিব বলেন, প্রাথমিকের বাচ্চাদের মেধা বা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য কীভাবে উৎসাহিত করতে পারি, এই প্রক্রিয়া বের করার জন্য আমরা টেকনিক্যাল কমিটি করে দিয়েছি। সেখানে আমাদের কিছু সুপারিশ এসেছিল যেমন- ক্ষুদ্র অলিম্পিয়াড, বাংলা অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এ ধরনের কার্যক্রম করা। এছাড়া এক্সট্রা কো-কারিকুলাম একটিভিটিতে উৎসাহিত করার জন্য দেশব্যাপী কম্পিটিশন করা। ইতোমধ্যে আমাদের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মধ্যে আমরা এটি অন্তর্ভুক্ত করেছি। যেমন- নাচ, গান ও আবৃত্তি এগুলোকে উৎসাহিত করছি।

তিনি বলেন, কোচিং মুখিতা নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা যে সাব-কমিটি করে দিয়েছি তারা আমাদেরকে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। আমরা তাদের আরও একমাস সময় দিয়েছি, সেটি দিলে আমরা ওই দিকে যাব। কিন্তু আমরা বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সচিব বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বৃত্তি নয়, তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য অনুপ্রেরণামূলক আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তা আমরা তাদের দেব।

সচিব জানান, অনেক দিন ধরে আমাদের প্রাথমিকের সমাপনীতে পরীক্ষা ছিল। তার ফলাফলের ভিত্তিতে আলাদা পরীক্ষা না নিয়ে বৃত্তি দেওয়া হতো। এটা এটা এক রকম প্রণোদনা বা অনুপ্রেরণা, যা ছোট ছোট বাচ্চাদের উৎসাহী করার জন্য।

সচিব বলেন, এখন শিক্ষার যে পরিবর্তন হয়েছে এটা শুধুমাত্র পরিমার্জন না, এটা একেবারে রূপান্তর হচ্ছে। রূপান্তরের কারণে ২০১০ সালে যে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ছিল পুরো পরিবর্তন করে, এবারে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ করা হয়েছে।

পরিবর্তিত শিক্ষা কার্যক্রমে প্রাক-প্রাথমিক বা প্রাথমিক পর্যায়ে কোচিং মুখিতাকে শতভাগ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে ফরিদ আহম্মদ বলেন, এতে কম্পিটিটিভ পরীক্ষা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়নকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সচিব জানান, এ বছর পরীক্ষামূলক আমরা বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছিলাম। তারপর আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।