হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে সহকর্মীকে অ্যাফিডেভিট করে ‘তালাক’ দেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। কিন্তু সহকর্মী শিক্ষিকা জানালেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার বিয়েই হয়নি।
দাম্পত্য সম্পর্ক না থাকার পরও অ্যাফিডেভিট করে ‘তালাক’ দেওয়ার ঘটনা করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্কুল কর্তৃপক্ষও সাময়িক বরখাস্ত করেছে তাকে।
গ্রেপ্তার ওই শিক্ষকের নাম আনোয়ার হোসেন (৫৫)। হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় রিচি উচ্চবিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা বিষয় পড়ান তিনি। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে তার সহকর্মী একজন বিধবা এবং এক মেয়ে রয়েছে তার।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিয়ে না করেও তালাক দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কখনও দাম্পত্যের সম্পর্ক হয়নি ওই সহকারী শিক্ষিকার। কিন্তু কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই আদালতে তাকে তালাক দেওয়া সংক্রান্ত একটি অ্যাফিডেভিট করেন আনোয়ার। এরপর আনোয়ারের নামে আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন সহকারী শিক্ষিকা। সেটি এফআইআরভুক্ত করতে সদর মডেল থানা পুলিশকে আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মোহাম্মদ জাকির হোসাইন।
এদিকে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া এক ছাত্রের অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সহকর্মী শিক্ষিকার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করতেন তার স্ত্রী। এনিয়ে পরিবারে ঝগড়া হতো। স্ত্রীকে শান্ত করতেই তিনি এই অ্যাফিডেভিট করেন। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এসএএইচ