ঢাকা: বেতন না বাড়ালে শিক্ষকরা কোচিং বন্ধ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির একাংশ। একই সঙ্গে তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছে, ‘দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশার-সালাম) অংশের নেতারা এমন হুমকি দেন।
সম্প্রতি কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষে সভাপতি মো. আবুল বাশার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল বাশার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বেতন ভাতা না বাড়ালে শিক্ষকদের পক্ষে এ সিদ্ধান্ত মেনে কোচিং বন্ধ করা সম্ভব হবে না। কারণ, শিক্ষকরা যে বেতন পান তা দিয়ে তাদের সংসার চলে না। চিকিৎসকরা অতিরিক্ত প্র্যাকটিস করতে পারে। আমলারা ঘুষ খায়। কিন্তু শিক্ষকদের আয়ের আর কোন উৎস নেই। তাই আমাদের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত মানা সম্ভব নয়। আগে বেতন বাড়াতে হবে। তা না হলে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ’
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে তারা বলেন, ‘শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে পড়ান না বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা হঠকারী, ন্যক্কারজনক। আমরা যদি না পড়াতাম তাহলে ৯০ হাজার জিপিএ-৫ এলো কিভাবে?’
শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে আবুল বাশার বলেন, ‘তিনি শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়াতে পারেননি। শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়াতে পারেননি। অথচ এমন মন্তব্য করেন কেন? আমাদের বেতন ভাতা না বাড়ালে আমরা প্রাইভেট কোচিং থেকে ফিরে আসতে পারবো না। ’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা তখনই কোচিং বন্ধ করবে যখন আমলারা ঘুষ খাওয়া বন্ধ করবে। ’
এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে কিছু অশিক্ষিত নেতা শিক্ষকদের স্বার্থ না দেখে ভুল বুঝিয়ে এমনটি করছেন। ধোঁকা দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
কোচিং বন্ধ হলে শিক্ষার মান পড়ে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নে এ নেতা বলেন, ‘বেতন ভাতা বাড়ালে আমরা অতিরিক্ত ক্লাস নেবো। আশা করি সমস্যা হবে না। ’
এসময় এক অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোচিং বন্ধ হলে ছেলে মেয়েরা ভালো ফল করতে পারবে না। শ্রেণী কক্ষে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। তাই কোচিং চালু রাখতে হবে। ‘
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১২
এসএআর/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর