পাবনা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে।
সকাল ১০টার দিকে ৮২ কর্মচারী কাজে যোগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হয়। এরপর সেখানে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
কর্মচারী নেতারা অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানায়, সাত দফা দাবিতে কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। ১৭ জুন তাদের দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামানের ইন্ধনে মাসুদ রানা নামের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে তারা কর্মবিরতি পালন করছে।
কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো- কর্মচারী ইউনিয়ন গঠন, শিক্ষক-কর্মকর্তা ক্লাবের মতো কর্মচারী ক্লাব প্রদান, কর্মচারী প্রমোশন নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে ভিটেহারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ, রাষ্ট্রপতির জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন স্কেল প্রদান, স্নাতকোত্তর ও স্নাতক যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মচারীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া ও সরকার ঘোষিত কর্মচারীদের ওভার টাইম প্রদান।
এসব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান নেতারা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. মো. মোজাফ্ফর হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তবে, প্রক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কর্মচারী লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, উপাচার্যের অপসারণের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সামনেই ওই কর্মচারী লাঞ্ছিত হন। এতে আমরাও মর্মাহত।
তিনি আরও জানান, উপাচার্য ঢাকায় রয়েছেন। তিনি ফিরে এলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০, জুন ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: কামরুল হাসান সবুজ, নিউজরুম এডিটর