নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আগে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল নামে পরিচিত ছিল। পরে নাম বদলে রাখা হয় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নানা সমস্যা ও সংকটের মাঝেও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো ছাত্রীনিবাস (হোস্টেল)। একটি ছাত্রাবাস থাকলেও সেটি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে ছাত্ররা সেখানে থাকতে চান না। মাঠ নিচু। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলা। নেই ভালো কোনো মিলনায়তন। কলেজ শাখায় নেই কোনো গণিতের শিক্ষক। স্কুল শাখায় ২০ জন শিক্ষকের স্থলে আছেন ১৮ জন। আয়া, মালি, সুইপার নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে।
এসব বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ।
প্রতি বছর সন্তোষজনক ফলাফলের খবরে গেল বছর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসেন। সে সময় এসব সমস্যার কথা জানানো হলে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এখন এক হাজার ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন। তাদের বেশির ভাগ ছাত্রী। তারা বাইরের জেলা থেকে এখানে বাসা ভাড়া নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, আমার বদলির অর্ডার হয়েছে। আমি থাকা অবস্থায় ভালো করার চেষ্টা করেছি। করোনাকালে বিশেষ কায়দায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালানো হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৭ সালে কলেজে উন্নীত হয়। শিক্ষকদের আন্তরিকতা, ছাত্র-ছাত্রীদের একাগ্রতা ও অবিভাবকদের সহযোগিতার কারণে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড সেরা হয়ে উঠেছে। সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশ সেরা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
এসআই