ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০ বছরেও দৈনিক মজুরিতে রাবির ৩৬০ কর্মচারী

জনাব আলী, রাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১২

রাবি: ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও চাকরি স্থায়ী হয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৩৬০ কর্মচারীর। সাম্প্রতিক সময়ে মাস্টার রোলে চাকরিরত মাত্র ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আর এ নিয়োগটি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ কর্মচারী।

স্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগের আশায় ২০ বছর পার করছেন রাবির দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত (মাস্টার রোল) প্রায় ৩৬০ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

এতে কর্মচারীরা তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের স্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানান এসব কর্মচারী।
   
সব কর্মচারীকে স্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি এক নিয়োগে তাদের মধ্যে উপাচার্যের পছন্দের মাত্র ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে অস্থায়ী এসব কর্মচারী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
   
২০০৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মাস্টার রোলের কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ ছিল। কিন্তু কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। দলীয় বিবেচনা ও ব্যাপক অনিয়মের ভিত্তিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের কর্মচারী শাহীন বাদশা বাংলানিউজকে জানান, দৈনিক যে মজুরি দেওয়া হয় তাতেও চরম বৈষম্য রয়েছে। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যথাক্রমে ২৭৫ ও ২৪০ টাকা দেওয়া হয়।

অথচ একই পদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের দৈনিক ১৫০ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ১২০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পাচ্ছেন মাসে প্রায় ৮ হাজার টাকা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী বাংলানিউজকে জানান, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম দফায় ১০৪ ও দ্বিতীয় দফায় গত ১২ জুন ১৪৮ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক দলীয় ও বাণিজ্যিকরণ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ নূরুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, সব নিয়ম মেনেই কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও নিয়ম মেনে নিয়োগ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ২৪ জুন ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী ও ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।