ঢাকা: আমাদের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান চর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানের বিদ্যাপীঠ। এখান থেকেই আমাদের নতুন প্রজন্ম আধুনিক যুগের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য নাগরিক হয়ে বেরিয়ে আসবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মঙ্গলবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের(আইইউবি) মাল্টিপারপাস হলে কাজী নজরুল ইসলাম-আব্বাসউদ্দিন আহমেদ গবেষণা ও অধ্যয়ন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রেসিডেন্ট তৌহিদ সামাদ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওমর আহমেদ, সিনিয়র রিসার্স স্কলার শিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসী, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী খিলখিল কাজী বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, ‘‘সরকার দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সন্তানরা পড়ে। একটি দক্ষ ও সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ’’
১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ৭/৮টির বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশার কথা মামলা-মোকদ্দমার কারণে ৩/৪টি বাদে অন্য সবগুলো ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত পরিপূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং পল্লী জীবন-সংস্কৃতির ধারক মরমী শিল্পী আব্বাসউদ্দিনের কর্ম-সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে আইইউবি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। এটি একটি অনন্য উদাহরণ। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের জাতির অনন্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। গবেষণা কেন্দ্রের সফলতা কামনা করেন মন্ত্রী।
আইইউবি অনুষ্ঠানে নজরুল গবেষক প্রফেসর এ্যামেরিটাস রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ উমা কাজী এবং শিল্পী ফেরদৌসী রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করে।
মন্ত্রী নজরুল-আব্বাসউদ্দিন স্মৃতিময় দুর্লভ ১২৫টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ প্রদর্শনী আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে।
আইইউবির ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠানের শুরুতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু---’ ও ‘চল চল চল---’ এবং শেষে আব্বাসউদ্দিনের ‘অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাইরে---’ ও ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে------’ গান পরিবেশন করেন।
পরে মন্ত্রী আইইউবির লাইব্রেরি, ক্যাফেটরিয়া, ক্লাসরুমসহ বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১২
এমএন/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর