ঢাকা: শিক্ষকদের বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদেরও প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে হবে।
বুধবার ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আয়োজিত ‘ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একথা বলেন।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম গড়ার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। সারা দেশের ২০ হাজার ৫শ’টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করা হবে। ক্লাসরুমের জন্য ল্যাপটপ, স্পিকার ও প্রজেক্টর প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা কম্পিউটার শিক্ষক দিলেও সকল শিক্ষককে কম্পিউটার জানতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি গড়ে উঠবে।
নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো সামাজিক বাধা যেন তাদের পিছিয়ে না দেয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে তিনি শিক্ষদের প্রতি আহ্বান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়ের সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘‘দোয়েলের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ৬ হাজার ২ শ’ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, ২০১৬ সালের আগেই আমরা ২০ হাজার ৫ শ’ স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। ’’
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দীপক কুমার নাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নোমান উর রশিদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, আইসিটি’র প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২
এটি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর