ঢাকা: শিক্ষাখাতে জিডিপির ২২ দশমিক ৪ এবং জাতীয় বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ”
ভারতের মুম্বাইয়ে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস’র (ডব্লিউইসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে দূরদর্শী দিকনির্দেশনা, পরপর তিন বছর ১ জানুয়ারি ৩ কোটি ১২ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সবগুলো বইয়ের শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী এবং পরীক্ষা-ফলপ্রকাশ-ভর্তি-নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। ”
তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এরইমধ্যে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ”
বাংলাদেশের স্বাক্ষরতার বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নের বিষয় বিবেচনায় আনার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রী।
দি ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস (ডব্লিউইসি) শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ডব্লিউইসি অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত করেছে। শুক্রবার রাতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১২
এসএমএ/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর