রাবি: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান।
এ সময় ‘প্রদীপ্তির প্রত্যয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি উপউপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ নূরুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা ও প্রাধ্যক্ষরা নিজ নিজ হলে পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এম আব্দুর রহমান ও রেজিস্টার প্রফেসর এম এ বারী, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, প্রক্টর প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর চিত্তরঞ্জন মিশ্র উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের পশ্চিম চত্বরে চলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটি আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির বিদায়ী সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুল খালেক ও বনবন্ধু জাহিদুর রহমান ইকবাল একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৫৯ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ছাড়াও মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর রেখে আসছে। ’
বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, জািতর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গৌরবময় অবস্থান রয়েছে। এ দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্তব্যনিষ্ঠ শিক্ষক।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী আত্মদান করেন।
এ জন্য শিক্ষাঙ্গণের পবিত্রতা রক্ষার পাশাপাশি জ্ঞানার্জনের প্রতি অদম্য আগ্রহ ও নিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন উপাচার্য।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে ৫ জুলাই রাজশাহী নগরীর বড় কুঠরিতে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫ জন ছাত্রীসহ মাত্র ১শ ৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৫৩ পাস হয়। একই বছরের ৬ জুলাই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ হিসেবে মর্যাদা পেয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা দিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর